আসছে বিয়ে ও ভালোবাসা বিষয়ক কোর্স
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
০৪-১২-২০২৪ ০৫:৩৫:০৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৪-১২-২০২৪ ০৫:৩৫:০৯ অপরাহ্ন
প্রতীকী ছবি
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশই জন্মহার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেলেও ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে চীনে। দেশটিতে শিশু জন্মের হার এতটাই কমে গেছে যে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত চীনা কর্তৃপক্ষ। এদিকে, দ্রুতহারে বাড়ছে বয়স্কদের সংখ্যা। তাই জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে এবার দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের ‘বিয়ে ও ভালোবাসা’র পাঠ শেখানোর আহ্বান জানালো চীন। বিবাহ, প্রেম, উর্বরতা ও পরিবার নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দিতেই এই উদ্যোগ নিলো দেশটি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। ২০২৩ সালে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পর, তরুণ দম্পতিদের সন্তান নিতে আগ্রহী করে তোলার জন্য জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রচার করছে বেইজিং।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ চীনে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন মানুষের বাস। তবে দেশটিতে বয়স্ক জনসংখ্যার হার দ্রুত বাড়ছে যা, ভবিষ্যতে সরকারি ব্যয়ের চাহিদা বাড়িয়ে দেবে ও অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করবে। একটি সরকারি প্রকাশনা চায়না পপুলেশন নিউজের বরাতে জিয়াংসু সিনহুয়া পত্রিকা জানিয়েছে, দেশটিতে জনসংখ্যার এই ক্রান্তিকালে উর্বরতার সবচেয়ে বড় চালক এখন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে বিবাহ ও ভালোবাসার বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।
প্রকাশনাটিতে বলা হয়, ‘কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত বিবাহ ও ভালোবাসা বিষয়ক শিক্ষা কোর্স চালু করে শিক্ষার্থীদের বিবাহ ও ভালোবাসা বিষয়ে শিক্ষা প্রদানের দায়িত্ব নেওয়া।’এই পদক্ষেপগুলো ‘স্বাস্থ্যকর ও ইতিবাচক বিবাহ এবং সন্তান জন্মদানকারী সাংস্কৃতিক পরিবেশ’ তৈরি করতে সহায়তা করবে।
চীনের জনসংখ্যা হ্রাস প্রতিরোধের প্রয়াসে এবং ‘সঠিক বয়সে’ সন্তান জন্মদান ও বিবাহ করার প্রতি সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে দিতে জন্য রাজ্য কাউন্সিল বা মন্ত্রিসভা নভেম্বরে স্থানীয় সরকারগুলোর সঙ্গে সমাবেশ করেছিল। যদিও জনসংখ্যাবিদরা বলেছিলেন, এই পদক্ষেপগুলো তরুণ চীনাদের কমই আকৃষ্ট করতে পারবে।
চায়না পপুলেশন নিউজের জরিপে অংশ নেওয়া কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রায় ৫৭ শতাংশই বলেছেন, তারা প্রেমে পড়তে চান না। এর প্রধানত কারণ, তারা জানেন না একসঙ্গে কীভাবে পড়াশোনা ও ভালোবাসার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে।‘বিবাহ ও ভালোবাসার পদ্ধতিগত ও বৈজ্ঞানিক পাঠের অভাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মনস্তাত্তিক সম্পর্ক নিয়ে বোঝাপড়ায় অস্পষ্টতা রয়েছে।’
এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কলেজের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের জনসংখ্যা ও জাতীয় পরিস্থিতি, নতুন বিবাহ ও সন্তান জন্মদানের ধারণা সম্পর্কে পাঠদানের বিষয়ে মনোনিবেশ করতে পারে।সিনিয়র কলেজ শিক্ষার্থী ও স্নাতক শিক্ষার্থীদের ‘কেস বিশ্লেষণ, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা ও নারী-পুরুষের মধ্যকার যোগাযোগের ওপর গ্রুপ আলোচনা’র মাধ্যমে এ বিষয়ে পাঠদান করা যেতে পারে।
কোর্সগুলো তাদের ‘বিবাহ ও ভালোবাসাকে সঠিকভাবে বুঝতে ও এই সম্পর্ক পরিচালনা করার ক্ষমতা উন্নত করতে’ সাহায্য করবে।
বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স